আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৬ বছর পর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কে হচ্ছেন সভাপতি প্রার্থী আর কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। এই সম্মেলন ঘিরে চলছে সাজ সাজ রব।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার রায় গত বছরের ৩ অক্টোবর মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন টানা তৃতীয় বারের চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু।
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা এবং এই উপজেলয় তার নিজ বাড়ি হওয়ায় নতুন করে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। তিনি নিজেই সভাপতি হিসেবে বহাল থাকবেন নাকি আসবে নতুন মুখ। অথবা ভারমুক্ত হবেন মিজানুর রহমান মিজু নাকি তার বদলে অন্য কেউ।
এছাড়া অন্যান্য পদগুলোতে কারা আসবেন আরা কারা চলে যাবেন তা নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন শেষ হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা মাত্র চার দিন।
আগামী বৃহস্পতিবার ( ২২ সেপ্টেম্বর) বেলা দুইটায় কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শরীফ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এবং অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ।
সম্মেলন উদ্বোধন করবেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
কালীগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হারুন অর রশীদ বলেন, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী এলাকাবাসীর আশা ভরসা এবং আস্থার ঠিকানা নুরুজ্জামান আহমেদ। তার সুচিন্তিত মতামত এবং দূরদর্শী সম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে এই উপজেলায় বিরোধী শিবির তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি।
সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক নুরুল আমিন সরকার (উসমত)
বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নুরুজ্জামান আহমেদ। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত আছে এবং তার হাত ধরেই ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তাই আগামীতেও তার নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে চাই।
আগামী সম্মেলনে নুরুজ্জামান আহমেদসহ যারা নতুন নেতৃত্বে আসবেন তারা দলকে আরও গতিশীল এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু বলেন, দীর্ঘদিন পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলন ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি, সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খলভাবে এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এই উপজেলায় বিভিন্ন অবকাঠামোসহ নানা ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও যেন এই ধারা অব্যাহত থাকে এজন্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের যে গতিশীলতা রয়েছে তা যেন অব্যাহত থাকে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবিরোধী সকলের অপশক্তিকে রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।